লাল তেঁতুলের কথা শুনেছেন কি? পাকলে তেঁতুলের রং হয় হালকা খয়েরি। কিন্তু হিজলাবট গ্রামের মানুষ বুক ফুলিয়ে বলবে, ‘তেঁতুলের রং লালও হয়। আসুন আমাদের গ্রামে। দেখিয়ে দেব।’ ঠিকই পড়েছেন। হিজলাবট গ্রামটিই এ দেশের একমাত্র গ্রাম, যেখানে...
হাজার বছরের গল্প। মেঘনার উপকূলে তিলে তিলে গড়ে ওঠে এক নিটোল জনপদ। সমুদ্রপাড়ের অনিন্দ্যসুন্দর নোয়াখালী শহরের দক্ষিণে এর অবস্থান।
পিচঢালা আঁকাবাঁকা পথ। রাস্তার দুই ধারে তালগাছ, অর্জুন, বাবলার সারি। যত দূর চোখ যায় সবুজের সমারোহ। ডাকবাংলোর পাশ দিয়ে পিচঢালা পথ ধরে চলতেই শুরু আমাদের গ্রাম। নাম সবুজনগর। একসময় গ্রামটির নাম ছিল কেওয়াবুনিয়া। ঘটিচোরা নামেও ডাকত কেউ কেউ। কিন্তু শিক্ষিত প্রজন্মের ঘোর আপত্তি ছিল এতে। ফলে নাম বদলে সবুজের চ
আমাদের ছোট গ্রাম মায়ের সমান/আলো দিয়ে বায়ু দিয়ে বাঁচাইয়াছে প্রাণ/মাঠ ভরা ধান তার জল ভরা দিঘি/চাঁদের কিরণ লেগে করে ঝিকিমিকি। শৈশবে বাড়ির বারান্দা কিংবা উঠানে বসে সব ভাই-বোন মিলে কবি বন্দে আলী মিয়ার এই কবিতা পড়তাম।
ভোরের আলোয় মোরগের ডাকে পাখির কিচিরমিচির শব্দে ভেঙে যায় ঘুম। সবুজ শ্যামলে ভরা ছোট গ্রাম। গ্রামটি মূলত দুটি পাড়ায় বিভক্ত। একটিকে বলা হয় চাষাপাড়া, অন্যটি তাঁতিপাড়া। ইট বিছানো রাস্তায় আঁকাবাঁকা পথের দুই পাশে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ছড়িয়ে গ্রামটি বিশ্রাম নিচ্ছে।
আমাদের গ্রামটা কি অন্য সব গ্রামের মতো? হয়তো তাই। কিন্তু আমার চোখে তা অদ্বিতীয়।
বাংলাদেশের সর্বদক্ষিণে সুন্দরবনের কোলঘেঁষা গ্রাম মিঠেখালি। চারদিকে খালের বিস্তৃতি থাকলেও পলি পড়ে আজ তা শীর্ণ। একসময় নৌকাই ছিল যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম। নব্বইয়ের দশকের শেষে মাটির রাস্তাগুলো পাকা হতে শুরু করলে হারিয়ে যায় সেই পালতোলা নৌকার দিন।
নীল চাষ হতো বহু আগে থেকেই। ভারতে চাষ করা সে নীল রপ্তানি করা হতো ইউরোপে। লর্ড কর্নওয়ালিস ১৭৯৩ সালের ২২ মার্চ চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত ঘোষণা করলে জমিদারেরা জমির ওপর নিরঙ্কুশ মালিকানার অধিকারী হন।
পাখির কিচিরমিচির শব্দে ঘুম ভাঙে। ভোর সকালে কাঁধে লাঙল-জোয়াল, হালের গরু, কেউ পাসুন-কোদাল-কাস্তে হাতে নিয়ে ছুটে চলেন ফসলের মাঠের দিকে। সূর্য ওঠার পর বাসি ভাত পান্তা করে, কাঁচা মরিচ, লবণ আর পেঁয়াজের সঙ্গে বাসি তরকারিসহ গামছা বেঁধে মাঠে ছুটে যায় কিশোর-কিশোরীর দল। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ে গৃহিণীদের ব্
পূর্ব দিকে বানার নদী। উত্তরে বিল, দক্ষিণেও বিল। পশ্চিম অংশে লালচে মাটির টেক। মাঝ দিয়ে চলে গেছে একটি পাকা রাস্তা। ঘাস, লতাপাতা, ঝোপঝাড় সবখানেই। যেদিকে তাকাই শুধুই সবুজ গাছপালা। এটি আমার প্রিয় বারিষাব গ্রামের চিত্র।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, বানিয়াচং গ্রামটি এশিয়া মহাদেশের বৃহত্তম গ্রাম। পর্যটনবিষয়ক আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মাধ্যমে হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার এই গ্রামটিকে বিশ্বের দীর্ঘতম গ্রাম হিসেবেও চিহ্নিত করা হয়েছে। বানিয়াচংয়ের সন্তান ভূপর্যটক রামনাথ বিশ্বাস গত শতকের তিরিশের দশকে সাইকেল চালিয়ে বিশ্বভ্রমণ করে খ্যাত
সবুজ-শ্যামল, শান্ত, ছায়াঘেরা, মনোরম এক জনপদ। দিগন্তজোড়া ফসলের মাঠ, পাখির কোলাহল, ঝিঁঝির ডাক আর জোনাকির স্বপ্নিল ওড়াওড়ি। এমনই স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যের মোহনীয়, বৈচিত্র্যময় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঢাকা বাংলাদেশের প্রতিটি গ্রাম। ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে যা ধরা দেয় নতুন রূপে, নতুন বৈশিষ্ট্যে। প্রকৃতির এমনই অপ
পূর্ব পাশে প্রমত্তা বলেশ্বর নদ। আর দক্ষিণে প্রশস্ত খাল। এর মধ্যে সবুজ গাছপালায় শোভিত শান্ত জনপদ ‘চাল-রায়েন্দা’। এটিই আমার গ্রাম। এটির অবস্থান বাগেরহাট জেলার শরণখোলা উপজেলার সদর ইউনিয়নে।